স্বদেশ ডেস্ক:
আগামী মাসে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফর উপলক্ষে আজ বুধবার যে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা, তাতে স্কোয়াডভূক্ত কোনো ক্রিকেটারই দুপুর নাগাদ এসে যোগ দেননি।
বিকেল নাগাদ এই ক্যাম্পে এসে হাজিরা দেয়ার শেষ সময়সীমা রয়েছে, কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যে ধর্মঘটরত কোনো ক্রিকেটার এসে যোগ দেবেন এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, অ্যাকাডেমি মাঠ কিংবা জিমনেশিয়ামের ত্রিসীমানার মধ্যেই এদের কাউকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি বলে সেখান থেকে জানাচ্ছেন বিবিসির ক্রীড়া সংবাদদাতা রায়হান মাসুদ।
অথচ বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মঙ্গলবার বিকেলেই এক সংবাদ সম্মেলন করে ভারত সফরের আগ মুহূর্তের এই ধর্মঘটকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেছিলেন, “আমি দেখতে চাই ইন্ডিয়া ট্যুরের আগে যে ক্যাম্প হবে তাতে কারা না আসে? কারা ইন্ডিয়া ট্যুর বানচাল করতে চায়”?
সকালে ট্রেনার মারিও ভিলাভারানে উপস্থিত ছিলেন, সাথে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।
২৪ অক্টোবর অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড। কিন্তু কোনো ভেন্যুতে দল যায়নি।
ভারত সফরকে সামনে রেখে এই ক্যাম্পের বাড়তি গুরুত্ব ছিলো। আর বেশিরভাগ ক্রিকেটার ম্যাচের মধ্যে ছিল তাই ফিটনেস নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করার সুযোগ হয়নি।
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ভারতের মাটিতে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, ২০১৭ সালে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ।
এই সিরিজে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট ম্যাচ হওয়ার কথা ভারতের বিভিন্ন ভেন্যুতে।
কোলকাতায় বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচ দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন বলেও কথা রয়েছে।
এদিকে ক্রিকেটারদের বিকেল ৫টায় আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক নিজামুদ্দিন চৌধুরী।
সংবাদদাতা রায়হান মাসুদ জানাচ্ছেন, স্কোয়াডভূক্ত কোনো ক্রিকেটারের সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভারত সফরের স্কোয়াডে যারা আছেন:
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক)
তামিম ইকবাল
মুশফিকুর রহিম
লিটন কুমার দাস
সৌম্য সরকার
নাঈম শেখ
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
আফিফ হোসেন
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত
আমিনুল ইসলাম বিপ্লব
আরাফাত সানি
সাইফউদ্দিন
আল-আমিন হোসেন
মোস্তাফিজুর রহমান
শফিউল ইসলাম
উল্লেখ্য, গত সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশিরভাগ সিনিয়র সদস্যসহ ত্রিশ জনেরও বেশি খেলোয়াড় একটি সংবাদ সম্মেলন করে এগারোটি দাবি তুলে ধরেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবালও উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন।
একইসাথে তারা ঘোষণা দেন, এই দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তারা কোন ম্যাচ কিংবা অনুশীলনে যোগ দেবেন না।
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা ওই সংবাদ সম্মেলনে না থাকলেও পরে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে ক্রিকেটারদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
এমন সময় এই ধর্মঘটে গেলেন ক্রিকেটাররা, যখন আগামী মাসেই ভারতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
এই ধর্মঘটের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
– বিবিসি